✓ বড় প্রশ্ন কিভাবে বানিয়ে লিখতে হয় ?
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বড় প্রশ্ন বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ। আর এই প্রস্তুতিকে আরো উচ্চতর স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রূপনারানের কূলে কবিতা থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্ন তোমাদের সামনে নিয়ে এসেছি। অন্নান্য সাব্জেক্ট এর মত বাংলা বই এ হবুহু কমন আসে না । আর এর জন্যই যেকোনো কবিতা এর বিষয়বস্তু ঠিকমতো পড়লেই যে কোন বড় প্রশ্ন বানিয়ে লেখা যাবে।
রূপনারানের কূলে কবিতায় এমন কিছু বড় প্রশ্ন আমরা তুলে ধরেছি যাতে এই প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বানিয়ে লিখতে পারা যাবে।
আমি একেবারের নিশ্চিন্ত যে এই দুইটি বড় প্রশ্ন পরলে সমস্ত ধরনের প্রশ্ন বানিয়ে লিখতে পারবে তোমরা।
বড় প্রশ্ন,
✓ "জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয় " রূপনারানের কূলে কবিতা অবলম্বনে কবির এই ভাবনার তাৎপর্য আলোচনা করো ?
Ans- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর শেষলেখা কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা হলো "রুপনারানের কূলে"। কবিতাটি লেখা হয় ১৯৪১ সালের ১৩ মে ৩টা ১৫ মিনিটে শান্তিনিকেতনের "উদয়ন গৃহে" ।
রূপনারানের কূলে কবিতায় বাস্তব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ কবির জীবন সম্পর্কে চরম উপলব্ধি প্রকাশ পেয়েছে । " মৃত্যু শয্যায় শাহিত কবি স্বপ্নের মায়াজাল ছিন্ন করে রূপনারানের কূলে অর্থাৎ এই রূপময় বিশ্বে কবি শেষ কিনারায় জেগে উঠে নিজেকে উপলব্ধি করেছেন। দীর্ঘায়ু জীবনের আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায় রক্তের অক্ষরে জীবনকে দর্শন করে কবিগুরুর উপলব্ধি -
" জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়"
কারণ তো কল্পনার নির্মিত এর মধ্যে বাস্তবতার স্পর্শ পাওয়া সম্ভভব নয়। স্বপ্ন ভেঙে গেলেই সত্য প্রকাশিত হয়। তাই কবি মনে করেন দুঃখের তপস্যা এ জীবন। কারণ দুঃখের মধ্যে দিয়েই মানুষ সত্যের দারুন মূল্য লাভ করতে পারে। কবির ভাষায়
"দুঃখের আঁধার রাত্রি বারে বারে এসেছে আমার দ্বারে"
"জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়।"
✓ সত্য যে কঠিন কবি কিভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন রূপনারানের কূলে কবিতা অবলম্বনে লেখ ?
জীবনের শেষ লগ্নে পৌঁছে কবিগুরু জীবন সম্পর্কে চরম অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রূপনারানের কূলে কবিতায়। কবির মতে এই জগত কল্পনা রসে জারিত নয় এটি কঠিন এবং বাস্তবের মাটি। তাই স্বপ্নের মধ্যেই নয় আজীবন দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা মাধ্যমে বিশ্বকে আপন করে নিতে হয়। পাশ্চাত্যের কবি কিটস এর লেখা পড়ে রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেছেন সত্যই জীবন এবং সেই সত্যকে উপলব্ধি করা যায় কঠিন কে ভালবেসে।
দুঃখের আঘাতে আঘাতে জীবনের আনন্দ কে খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ তিনি মনে করতেন দুঃখের মাঝে সুখ আছে এই উপলব্ধি থেকে কবি লিখেছেন _
"রক্তের অক্ষরে দেখিলাম
আপনার রূপ
চিনিলাম আপনারে"
সারাজীবন আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের জীবন। তিনি জগতকে একেবারে কাছ থেকে দেখে তিনি বুঝেছিলেন আঘাত আনন্দ সুখ-দুঃখ জীবনে আসবেই তাই এই সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় । এতে সুখ ভোগ হতে পারে কিন্তু জীবনে পূর্ণতা আসেনা। কারন সত্য বড়ই কঠিন।
إرسال تعليق