ক্রিপস মিশন কোন পরিস্থিতিতে ভারতে আসে ? এই মিশনে প্রস্তাবগুলি কি ছিল ? এই মিশন কেন ব্যর্থ হয়েছিল?
ANS-
ক্রিপস এর ভারতে আগমন:- ভারতে জাপানের আক্রমণের প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিলে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য বিশেষ ও খতনামা আইনযোগ্য স্যার স্ট্যাফোড ক্রিপস কে ভারতে পাঠান। তিনি 1942 খ্রিস্টাব্দে ২৩ শে মার্চ দিল্লিতে পৌঁছান। ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে ক্রিপসের এই ভারতে আগমন ক্রিপস দ্বৈত বা ক্রিপস মিশন নামে পরিচিত।
ক্রিপসের প্রস্তাব :- এই প্রস্তাবে বলা হয় যে -
1 যুদ্ধের পর ভারতকে ডমিনোয়ন এর মর্যাদা দেওয়া হবে।
2 যুদ্ধের পর ভারতীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবিধান সভা গঠন করা হবে।
3 এই সংবিধান সভা ভারতের নতুন সংবিধান রচনা করবে।
4 ভারতীয়দের সহযোগিতায় ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় সম্পদকে যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করবে।
ক্রিপস মিশন ব্যর্থ হয়েছিল কেন | কবে এবং কি উদ্দেশ্যে ক্রীপস মিশন ভারতে এসেছিল | ক্রিপস মিশন ভারতে কবে আসে | ক্রিপস মিশন কবে এবং কি উদ্দেশ্যে ভারতে আসে | মন্ত্রী মিশন কেন ভারতে এসেছিল | ক্রিপস মিশন এর প্রভাব আলোচনা করো | ক্রিপস প্রস্তাব কি | ক্রিপস মিশনের সদস্য কে কে ছিলেন
ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতা :- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের প্রত্যাখ্যানের ফলে ক্রিপস প্রস্তাব ব্যর্থ হয় এর প্রধান কারণ গুলি ছিল -
1 ক্রিপস বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের সাথে একসাথে আলোচনা না করে এককভাবে আলোচনায় বসেছিলেন।
2 স্যার ক্রিপস তার ক্রিপস মিশনের সাফল্যে গান্ধীজিকে তেমন গুরুত্ব দেননি।
3 ক্রিপস মিশনে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীরা নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করেছিল।
রশিদ আলী দিবস কি ?
ANS:- ইংরেজ সরকার আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপ্টেন রশিদ আলীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর প্রতিবাদে কলকাতায় ১১ই ফেব্রুয়ারি ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় এবং রশিদ আলীর মুক্তির দাবিতে কলকাতায় ১২ই ফেব্রুয়ারি রশিদ আলী দিবস পালিত হয়।
কলকাতা হত্যাকান্ড কি?
ANS:- বাংলার লিগ সরকারের প্রত্যক্ষ প্রেরণচর্ণায় পুলিশ ও প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় রেখে কলকাতা ৫ দিন ধরে ব্যাপক দাঙ্গা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চলতে থাকে। " লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান " ধবনি তুলে লীগের সমর্থকরা নির্বিচার হিন্দু নিধনে মেতে ওঠে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কলকাতা হত্যাকান্ড নামে পরিচিত।
দিয়েন-বিয়েন-ফু কী ?
ANS:- ফরাসি সেনাপতি নেভারে উত্তর ভিয়েতনামের দিয়েন-বিয়েন-ফু গ্রামে একটি দুর্ভেদ্য তবু নির্মাণ করে। 1954 খ্রিস্টাব্দে ১৩ই মার্চ ওই ঘাটে পুরনায় ভিয়েতনামের সেনাপতি আক্রমণ করলে আবার যুদ্ধ শুরু হয় । শেষ পর্যন্ত ফরাসি সেনাপতি ভিয়েতনামের সেনাপতির কাছে আত্মসমর্পণ করে এই ঘটনা দিয়েন-বিয়েন-ফু নামে পরিচিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন