Q বাংলা বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে কাদম্বনী বসু গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা কর?
ভূমিকা :- বাংলার বিজ্ঞান চর্চা তথা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায় অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি এবং চন্দ্রমুখী বসুর ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক বা গ্রেজুয়েট। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক যিনি ডাক্তারের শাস্তের একাধিক বিদেশি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
কাদম্বিনী গাঙ্গুলী জীবনী pdf
বাংলা বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান
ঝড়ের মেয়ে কাদম্বিনী pdf
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান
কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর বাড়ি
ভারতের প্রথম দুজন মহিলা স্নাতক এর নাম লেখ
কাদম্বিনী চরিত্র
কৃতিত্ব :-
১. তিনি সমকালে একজন সফল চিকিৎসক হিসাবে বহু জটিল রোগের চিকিৎসা করেছিলেন এবং বহু অস্ত্রপাচারও করেছিলেন।
২. যে সময় বাড়ির মেয়েদের বাইরে পা রাখার আগে দশবার ভাবতে হতো সেই সময় একজন মেয়ের পক্ষে ডাক্তারি পাস করাটাই বোধহয় সবথেকে বড় কৃতিত্ব।
৩. কাদম্বনী বসু গঙ্গোপাধ্যায় এর ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত তৎকালীন ( বা সমকালীন) মেয়েদের ডাক্তারি পড়ার প্রেরণা জাগিয়ে ছিলেন।
৪. চিকিৎসা ছাড়াও তিনি অনেক সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৫. ১৮৯৫ সালে নেপালের রাসমাতার চিকিৎস্বার্থে তিনি নেপালে যান এবং সেখানে আধুনিক জনচিকিৎসার সূচনা করেন।
৬. রক্ষণশীল শিক্ষক সমাজ ডাক্তারি পাস করার পরেও কাদম্বিনী বসুকে ডাক্তারি ডিগ্রী না দিয়ে "গ্রাজুয়েট অফ দি মেডিকেল কলেজ অফ বেঙ্গল" সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এরপরেও তিনি ডাক্তার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন, এটাও কম কৃতিত্বের নয়।
Q বাংলার বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলোচনা কর?
ভূমিকা :- বাংলা ও বাঙালির বিজ্ঞান চর্চাকে যারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মর্যাদার সঙ্গে উপস্থাপিত করেছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ কৃতিত্ব দেখে বিলেতে ( বা বিদেশে ) যান ডাক্তারি পড়তে। তার প্রথম দিকের গবেষণার বিষয় ছিল তারের সাহায্য ছাড়াই খবর বা সংকেত কিভাবে পাঠানো যায় তাই নিয়ে এই গবেষণায় তিনি অনেক সুফলও পেয়েছিলেন। এর ফলে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় " ডক্টর অফ সায়েন্স "উপাধি লাভ করেন।
জগদীশ চন্দ্র বসু এরপর অনুভূতি নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন দীর্ঘ গবেষণার ফলস্বরূপ তার নানান মৌলিক তত্ত্ব ও আবিষ্কারগুলি জনসমাজে আসতে থাকে। তিনি জীব জর পদার্থের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বিশেষ করে উদ্ভিদের উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে মূল্যবান গবেষণা করেন। ১৯১৭ সালে তিনি বিজ্ঞানের চর্চা আর গবেষণার জন্য বসু বিজ্ঞান মন্দির নামে একটি সংস্থার তৈরি করেন। " অভক্ত " নামক গ্রন্থটিতে জগদীশ চন্দ্রের শিল্পী মনের যথাযথ আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য " ক্রেস্কোগ্রাফ " , "সিগমোগ্রাফ" ইত্যাদি নামক কয়েকটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
إرسال تعليق